Advertise top
আদালত-অপরাধ

লঞ্চের কেবিনে ৪ বছর আগে খুন, রহস্য উদঘাটন

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১০ পিএম       

লঞ্চের কেবিনে ৪ বছর আগে খুন,রহস্য উদঘাটন
ধানমন্ডির পিবিআই প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।

 

ঢাকার সদরঘাটে মিতালি-৭ লঞ্চের কেবিনে চার বছর আগে খুন হওয়া নিলুফা বেগমের মৃত্যুরহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

 

ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্রুনাই প্রবাসী আসামি মো. দেলোয়ার মিজিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এই বিশেষ ইউনিট।  খুনের ৯ দিন পর মো. দেলোয়ার মিজি ব্রুনাই চলে যায়। 

 

বৃহস্পতিবার,১২ অক্টোবর সকালে ধানমন্ডির পিবিআই প্রধান কার্যালয়ে অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার এ তথ্য জানান।

 

বনজ কুমার বলেন,  দেলোয়ার সম্পর্কে বিমান বন্দরে তথ্য দিয়ে রাখা হয়েছিল। দেলোয়ার  ২২ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার মোল্লাবাড়ি নাসিরকোর্ট গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।

 

ঘটনার বিবরণ দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত  ১৬ জুন, ২০১৯ তারিখ রাতে ঢাকা আসার জন্য মিতালি-৭ লঞ্চের এস-৩০৯ নম্বর কেবিনে ওঠেন নিলুফা বেগম। পর দিন সকালে কেবিন বয় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পিবিআই-এর ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করে। লঞ্চের বুকিং রেজিস্ট্রারে  প্রতিবেশী জাহাঙ্গীরের নামের পাশে নিলুফার মোবাইল নম্বর লেখা ছিল। নিলুফা বেগমের সঙ্গে জাহাঙ্গীরের সখ্যতা থাকায় এই হত্যাকাণ্ডে তিনি জড়িত থাকতে পারেন বলে এজাহারে উল্লেখ করে নিহতের ভাই মনির হোসেন। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ১ মাস তদন্ত শেষে পিবিআই ঢাকা জেলা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে। তদন্তে নিহতের সাথে একই গ্রামের ব্রুনাই প্রবাসী দেলোয়ার মিজির পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি উঠে আসে। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার বছর অপেক্ষার পর চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেলোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।

 

পিবিআই প্রধান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার মিজি নিলুফা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। দেশে আসার কিছুদিন আগে সে তার এক আত্মীয়কে পাঠানো ভয়েস রেকর্ডে মেসেজের মাধ্যমে নিলুফা হত্যা মামলার খোঁজ নিতে বলে এবং মামলা শেষ করতে যদি টাকা পয়সা লাগে সে ব্যাপারে আশ্বাস দেয়। দেশে আসলে সমস্যা হবে না এমন আশ্বাস পেয়েই সে ব্রুনাই থেকে বাংলাদেশে আসে।

 

নিলুফা বেগমের স্বামী ২০১৫ সালে মারা যান। বাড়িতে তিনি একা থাকতেন। ২০১২ সালের দিকে বাড়িতে কাঠ মিস্ত্রীর কাজের সুবাদে দেলোয়ারের সাথে তার পরিচয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুযোগে নিলুফার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে সে। কিন্তু নিলুফা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। কিন্তু নিলুফা বেগম সম্পর্কের বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেয়ার হুমকি দিলে আসামি মান সম্মানের কথা চিন্তা করে নিলুফাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

 

দেলোয়ার মিজি এবং লিলুফা ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে চাঁদপুর থেকে লঞ্চে ওঠে। লঞ্চ ছাড়ার পর রাত ১২টার দিকে সে নিলুফাকে ধর্ষণ করে। এ নিয়ে নিলুফার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নিলুফার গলায় ওড়না পেচিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে সে।

 

 


মন্তব্য লিখুন


Ish Brand

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫

Developed By NextBarisal