বরিশালের বাকেরগঞ্জে সোহেল খান (৩৫) খুনের ঘটনায় পুলিশি তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত সোহেলের মা নিলুফার বেগম মা বরিবার রাতে বাকেরগঞ্জ থানায় খুনের মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন, উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শাহীন হাওলাদার, তার ভাই শামীম হাওলাদার ও সওকত খান।

৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে রবিবার সকালে চর কবাই এলাকা থেকে পেশায় কৃষক সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাতভর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তোলেন পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, শনিবার রাতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে তাকে ডাকাত বলে প্রচার করা হয়। পরে তাকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

সোহেলের স্ত্রী সাজেদা বেগমের অভিযোগ, কিছুদিন আগে কবাই চরে তরমুজ চাষের জন্য তার স্বামীর কাছে জমি চেয়েছিলেন শাহীন হাওলাদার, তার ভাই ফিরোজ হাওলাদারসহ কয়েকজন। না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন তারা। শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে কথা আছে বলে ডেকে নেওয়া হয় তার স্বামীকে। রাত ১২টার দিকে বাড়ির পাশের মসজিদের সামনে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে মেরে ফেলে তাকে।

সোহেলকে নির্দোষ দাবি করে তার মেয়ে ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘তরমুজ ক্ষেতের জমি না দেওয়ায় বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।’

বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোহেলের মা নিলুফা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহার নথিভুক্ত করার পরপরই ১ নম্বর আসামি শাহীন হাওলাদারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।