বরিশাল নিউজ
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
পিরোজপুরে গত পাঁচ মাসে ৬/৭ হাজার লোক বিড়াল ও কুকুরের কামড় খেয়ে সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই ঘটনা উদ্বেগজনক বলছেন সেখানের চিকিৎসকরা। অথচ হাসপাতালে ওষুধ নেই। রোগীদের ভাগাভাগি করে বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে।
জনকণ্ঠ অনলাইন ভার্সনের উপকূলীয় প্রতিনিধি এনামুল হক এনা তার প্রতিবেদনে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জেলা হাসপাতালে গত ছয় মাস ধরে বিড়াল- কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিন র্যাবিক্স পাওয়া যাচ্ছে না। তার উপর রোগীদের বাইরে থেকে বেশি দামে ভ্যাকসিন কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এই ব্যাপরে রোগীরা জানান, ভ্যাকসিনের এক ভায়ালে চারটি ডোজ থাকে, আর একবার ভেঙে ফেলার পর তা দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায় না। এই কারনে টাকা বাঁচাতে তাদের ৫২০ টাকা দামের ভ্যাকসিন ভাগাভাগি করে কিনতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার নামাজপুর গ্রামের কাকলি বেগমের বরাত দিয়ে এনামুল আরো জানান, তার চার বছরের মেয়ে ঘরে খেলার সময় বিড়ালে কামড় দেয়। মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আসার পর ডাক্তার তাকে বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে আনতে বলেন। কাকলি বেগম জানান, এক ভায়াল চার ডোজের, তাই তিনজন রোগী খুঁজে নিয়ে একসাথে ভ্যাকসিন কিনতে হয়েছে তার।
রোগীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করেছেন পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, “আমরা সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে সিডিসি বিভাগ থেকে চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন আসছে না। দ্রুত সমস্যার সমাধানে আমরা কাজ করছি।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫
Developed By NextBarisal
মন্তব্য লিখুন