Advertise top
আদালত-অপরাধ

তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন, মা–শিশুসহ নিহত ৪

বরিশাল নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম       

তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন, মা–শিশুসহ নিহত ৪
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একটি বগি থেকে মা, শিশুসন্তানসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন—নাদিরা আক্তার পপি (৩২) ও তাঁর ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন। বাকি দুজন পুরুষ। তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি। 

 

আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

 

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স্টেশন পার হয়ে ট্রেনটি খিলক্ষেতে এলে যাত্রীরা বগিগুলোয় আগুন দেখতে পান। তাঁরা চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামান।

 

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার জানান, সকাল পৌনে সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে।

 

পুলিশ বলেছে, আগুন নেভানো ও মরদেহগুলো উদ্ধারের পর ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

নিহত ইয়াসিনের মামা হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনার সদর উপজেলার বরুনা গ্রামে। ৩ ডিসেম্বর তারা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই গতরাত ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের রওনা দিয়েছিলেন ঢাকায় ফিরতে। ভোরে তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। সাথে ছিলেন হাবিবুর, ইয়াসিন, ইয়াসিনের বড় ভাই ফাহিম (৮) ও তাদের মা নাদিরা।

 

হাবিবুর জানান, তেজগাঁ স্টেশন এসে ট্রেনটি থামলে তখন কিছু যাত্রী সেখান থেকে নেমে যায়। এসময় তাদের পেছনের ছিটে থাকা দুই ব্যক্তিও নেমে যায়। এরপর পিছনের ছিট থেকে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তেই আগুন পুরো বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে দৌড়ে হাবিবুর ও ফাহিমসহ অন্য যাত্রীরা নামতে পারলেও ভিতরে আটকা পড়েন ছোট ইয়াসিন ও তার মা নাদিরা। তাদেরকে আর কোনভাবেই বের করতে পারেননি। পরবর্তিতে ফায়ার সার্ভিস তাদের মরদেহ বের করেন। নিহত নাদিরার স্বামী নাম মিজানুর রহমান মিজান। কারওয়ানবাজারে হার্ডওয়ার দোকান কাজ করেন। তেজগাঁও তেজতুরি বাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।

 

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, ভোর ৫ টা ৪ মিনিটে আগুনের সংবাদে সেখানে তিনটি ইউনিট পাঠানো হয়। পৌনে সাতটার দিকে আগুন নিভানো হয়।

 

পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বগিগুলোতে সার্চ করে একটি বগি থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।


 


মন্তব্য লিখুন


সম্পাদক ও প্রকাশক: শাহীনা আজমীন ।। স্বত্ব © বরিশাল নিউজ ২০২৫

Developed By NextBarisal